মুখের একপাশে ব্রণ কেন হয় জানেন কি?

Feb 03, 2024
Face Care Solution
মুখের একপাশে ব্রণ কেন হয় জানেন কি?

মুখের একপাশে  ব্রণ কেন হয় জানেন কি?


সোশ্যাল মিডিয়া এবং আমাদের সাপোর্ট মিডিয়াতে একটা প্রশ্ন ঘুরে ফিরেই আসে, আর সেটা হলো আমার ফেইসের এক সাইডে ব্রণ হচ্ছে। তাই আজকে আপনাদেরকে বিস্তারিতভাবে জানাবো কিভাবে এবং কেন এমন টী হয়, আর এর থেকে প্রতিকারের ই বা কি উপায় আছে। তাই শেষ অবধি পড়ুন-

প্রাপ্ত বয়স্ক, কিশর বা কিশরী, প্রি-টিন এইজের মানুষের মধ্যে খুব সাধারণ একটা সমস্যা হলো ব্রণ। যা নানা বিধও কারণে হতে পারে


প্রথম সম্ভাব্য কারণ হিসাবে খাদ্যাভাসকে দায়ী করা যেতে পারে:

  • দুধ , কফি, দুগ্ধজাত খাবার, মশলাদার খাবার, জাঙ্ক ফুডের মত খাবার সাথে পাউরুটির কারণেও ব্রণ হতে পারে।
  • বিশেষজ্ঞদের মতে দীর্ঘদিন কফি খেলে ব্রণ হওয়ার ঝুকি অনেকাংশেই বেড়ে যায়। কেননা ব্রণ মূলত হরমনের ভারসাম্যহীনতার কারণে হয়। যা অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাসের কারণে হতে পারে।

প্রতিকারের উপায়ঃ

  • কফি পান থেকে বিরত থাকা। পান করলেও সেটা পরিমিত পর্যায়ে করা।
  • অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার বর্জন করা।
  • জাঙ্কফুড পরিহার করা।
  • পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করা বাধ্যতামুলক।
  • গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পর্যাপ্ত পরিমানে বিশুদ্ধ পানি পান করার কারণে দেহের হরমনের যে অস্বাভাবিকতা সেটা দূর হয়ে যায়।

দ্বিতীয় কারণ হলো এক দিকে দীর্ঘ সময় ঘুমানো বা শুয়ে থাকা:

  • ঘুম আমাদের জীবনের অপরিহার্য এক বিষয়। প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য প্রতিদিন ৬ ঘণ্টা ঘুম বাধ্যতামুলক। নয়তো নানাবিধও শারিরীক সমস্যা হতে পারে। সেই সাথে সেই ঘুমের পজিশন যদি এক পাশে দীর্ধ সময় ব্যয় হয় সেক্ষেত্রে  বালিশে লেগে থাকা জীবাণু আপনার ত্বকের ক্ষতি সাধণ করে সেখানে ব্রণের সৃষ্টি করতে পারে।

প্রতিকারের উপায়ঃ

  • প্রতিদিন নির্ধারিত সময়ে ঘুমাতে যাওয়া
  • ঘুমের আগের রেগুলার স্কিন কেয়ার গুলো করা( সেক্ষেত্রে Brand Korea Bangladesh এর সহায়াতা নিতে পারেন।
  • স্কিন কেয়ার ঘুমের ১/২ ঘন্টা আগে করা বেশি কার্যকরী।
  • বালিশের কভার যথাসম্ভব পরিষ্কার রাখা।
  • বালিশে ব্যাবহৃত ডিটারজেন্ট ভাল্ভাবে পরিষ্কার হয়েছে কিনা এইটা নিশ্চিত হওয়া।
  • সপ্তাহে অন্তত একবার বালিশের কভার চ্যাঞ্জ করা।
  • ঘুম থেকে উঠে ত্বক ভাল একটি ক্লিঞ্জার দিয়ে পরিষ্কার করা।


তৃতীয় কারণঃ নখ দ্বারা ত্বক চুল্কানো বা স্বভাবজাতও ভাবে ত্বকে হাত দেওয়া

  • আমরা প্রতিদিন কত কিছুই না করি, যার জন্য কত কিছুই না স্পর্শ করেতে হয় আমাদের। সেই কাজের শেষে হাত ধুয়েও ফেলি কিন্তু হাত ধোয়ার পরেও নোখের ভেতরে কিছু ময়লা রয়েই যা আমরা প্রতিনিত সেটা ত্বকে স্পর্শকরার মাধ্যমে ট্রান্সফার করে দেই। যার ফলে ব্যাক্টেরিয়ার আধিক্য বেড়ে যায় আর ব্রণ হয়।


প্রতিকারঃ 

  • ত্বকে হাতের স্পর্শ যথাসম্ভব কমানোর চেষ্টা করা।
  • হাত এবং নোখ উভয়ই নিয়ম করে প্রতিদিন পরিষ্কার করা।


চতুর্থ কারণঃ মুঠোফোনের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার।

  • মোবাইল আমাদের জীবনের একটা বড় অংশ দখল করে নিয়েছে। সেই সাথে আমাদের জীবনের প্রায় অর্ধেক্টাই সেই মোবাইলের স্ক্রিন স্ক্রল করতে করতে যায় এমন অবস্থা। আমার বিশ্বাস আপনি এখন মুঠো ফোনেই আমাদের এই লেখাটা পড়ছেন ভাবছেন মোবাইলের সাথে ব্রণের সম্পর্ক টা কোথায়-
  • বর্তমানে ডিজিটাল দুনিয়ায় মোবাইল গুলো আর সেই আগের মত নেই, এখন মোবাইলের স্ক্রিন বড়, অনেক অনেক ফিচার, সেই সাথে সহ্যের অতিরিক্ত রেডিয়েশন। যেহেতু মোবাইল ইউজ করার সময় আমাদের ত্বকের খুব নিকটে থাকে সেহেতু সেই রেডিয়েশনের প্রভাব সরাসরি গিয়ে ব্রেইন এবং ত্বকে আঘাত করে। ত্বকের স্বাভাবিক কার্যকারীতা হারিয়ে ত্বকের ব্রণের সৃষ্টি হয়।
  • অন্যদিকে মোবাইল যেহেতু আমাদের হাতের সংস্পর্শেই থাকে সেহেতু জীবানু মুক্ত থাকার কোন সম্ভাবনাই নাই। ফলে সেই ফোন আমরা কানে কিংবা ত্বকের সংস্পর্শে নিয়ে কথা বললেই সেই জীবানু ত্বকে পরিচালিত হয় আর ব্রণের সৃষ্টি করে।

প্রতিকারঃ

  • ফোনে কথা বলতে বলতে হেডফোন অথবা হেডসেট ব্যাবহার করুন।
  • ফোন যতটা সম্ভব জীবানু মুক্ত রাখুন। সেক্ষেত্রে এলকোহল প্যাড দারুন কার্যকরি।
  • ফোন যথাসম্ভব দূরে রাখুন।
  • ব্যবহারের আগে অবশ্যই হাত স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার করবেন। সেক্ষেত্রে Moisturizer ব্যাবহার করতে ভুল্লে চলবে না।

পঞ্চম কারণঃ চুলের অবস্থান।

  • চুলের পজিশনের কারণে ব্রণ হওয়ার ঝুকি যেহেতু শুধু মেয়েদের মধ্যেই বেশি, তাই বিষয়টি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
  • মেয়েদের চুল স্বাভাবিক ভাবেই বড় হয়ে থাকে সেজন্য সেই চুলের পজিশন তাদের ত্বকের চারপাশেই থাকে। আমরা জানি দৈনিন্দিন জীবনে ধুলাবালি ও অন্যান্য কারণে জীবানু মুক্ত থাকে না। ফলে সেই জীবনু ত্বকের সংস্পর্শে আসার ফলে ত্বকে ব্রণ হয়।

প্রতিকারের উপায়ঃ

  • চুলগুলো সব সময় গুছিয়ে রাখা।
  • চুল বেনি অথবা ঝুটি করে রাখা
  • সেক্ষেত্রে সিল্কের ক্রাঞ্চি ব্যান্ড ভাল
  • চুল যেন মুখের সংস্পর্শে না আসে সেই বিষয়ে কার্যকরীভাবে চুল গুছিয়ে রাখাই হলো সমাধান।

ষষ্ঠ কারণ-পরিষ্কার হিজাব ব্যাবহার না করাঃ

  • আমরা যারা বোরখা কিংবা হিজাব পড়ি, অলসতা করে অনেক অসময় একি হিজাব দীর্ঘসময় ধরে পড়ি। অথবা পরিষ্কার না করেই বার বার ব্যবহার করি। ফলে ব্যাক্টেরিয়া গুলো কাপড় থেকে ত্বকে এসে ব্রণের সৃষ্টি করে।

প্রতিকারের উপায়ঃ

  • হিজাব, ইনার ক্যাপ গুলো নিয়মিত পরিষ্কার রাখা।
  • ভাল মানের ডিটারজেন্ট ব্যাবহার করা এবং ভালভাবে Detergent গুলো ধুয়ে গেল কিনা সেটা খেয়াল করতে হবে।

এক পাশে ব্রণ বা একনি হয়ে গেলে কি করবেন?

  • আপনাকে অবশ্যই একটি সুন্দর স্কিন কেয়ার রুটিন মেইনটেইন করতে হবে।(সাহায্যের জন্য Brand Korea Bangladesh ফেইসবুক পেইজে মেসেজ করতে পারেন)

  • একনি গুলোর জন্য এবং একনি এর ধরন অনুসারে বেসিক স্কিন কেয়ার এর পাশাপাশি AHA, BHA,বেঞ্জয়েল peroxide যুক্ত প্রোডাক্ট অনেক বেশি কার্যকরী হতে পারে।

তবে বলে নেওয়া ভাল  এই যে ত্বকের ভিন্নতা এবং সমস্যা সঠিক পর্যালোচনা করার পূর্বে বলা সম্ভব নয় যে উক্ত প্রডাক্ট গুলো ব্যবহারেই আপনার একনি কিংবা ব্রণ দূর হয়ে যাবে।

কখন এবং কিভাবে বুঝবেন আপনার একনি বা ব্রণের জন্য ডার্মাটোলজিস্ট দেখানো প্রয়োজন?

  • দীর্ঘদিন বেসিক স্কিন কেয়ার করার পরেও কোন সুফল না পাওয়া।
  • উপরে বর্ণিত AHA, BHA,বেঞ্জয়েল peroxide যুক্ত প্রোডাক্ট এইগুলো ব্যবহারের পরেও উন্নতি দেখতে না পেলে।
  • উপরের কারণ গুলোর সঠিক প্রতিরোধমুলক ব্যবস্থা নেওয়ার পরেও কোন সুফল না পেলে 

এমন সময়ে সময় নষ্ট না করে দ্রুত একজন Dermatologist দেখান। উপযুক্ত মেডিসিন এবং ডাক্তারের দেয়া প্রোডাক্ট আপনার জন্য বেশি উপকারী হবে এবং আপনি দ্রুত এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

All Categories
Flash Sale
Todays Deal